এবারের টি২০ বিশ্বকাপটা প্রথম থেকেই অঘটন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। নামিবিয়া ৫৫ রানে লঙ্কাকে হারিয়ে শুরুটা করেছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজও হেরে বসে। শংকা জেঁগে উঠে লঙ্কা আর ইন্ডিজ কি বাদ পড়ে যাবে সুপার-১২ আসর থেকে?
আশংকা শতভাগ সত্য হতে দেয়নি লঙ্কা। টিকে গেলে দ্বীপ দেশটি। কিন্তু পারল না সাবেক টি২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইরিশদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হার-টা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে।
প্রথম পর্বে এ গ্রুপ থেকে প্রথম দল লঙ্কা আর দ্বিতীয় নেদারল্যান্ড। এরপর বি গ্রুপে প্রথম দল জিম্বাবুয়ে আর দ্বিতীয় দল আয়ারল্যান্ড। আইসিসির সূচী মেনে বাংলাদেশ সুপার-১২ এ যে ৫ ম্যাচ খেলবে তাতে প্রথম ম্যাচ এ গ্রুপের দ্বিতীয় দল নেদারল্যান্ড-র বিপক্ষে। আর এ গ্রুপের প্রথম দল জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয় ম্যাচ
দক্ষিণ আফ্রিকা, ৪র্থ ভারত আর ৫ম পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে সাকিব বাহিনী।
যদিও ১৫ বছরের ইতিহাসে টাইগারদের নামের পাশে টি২০ বিশ্বকাপে কোন জয় নেই। তারপরও এবার দল ৫ ম্যাচেই জয় পেতে চায়। জিততে চাইবে যেকোন দলই। তাই বলে চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে তো একটা যোগ্যতার পরিস্কার একটি বিষয় উপস্থিত থাকে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নেদারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাবে এটা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। তবে ভারত আর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাবে, এমনটা টাইগারদের এখনকার পারফর্মেন্স সে ভরসা দিচ্ছে না।
পরিসংখ্যান কি বলে ? বাংলাদেশ মোট টি২০ ম্যাচ খেলেছে ১৩৯টি, জয় ৪৭ আর পরাজয় ৮৯, ফলাফল হয়নি ৩টি।
বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ড, টি২০ ম্যাচ মোট ৩টি, বাংলাদেশ জয় ২টি আর নেদারল্যান্ডের জয় ১টি।
বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে, টি২০ ম্যাচ মোট ১৯টি, বাংলাদেশ জয় ১২টি আর জিম্বাবুয়ে জয় ৭টি, ফলাফল হয়নি ০টি।
বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, টি২০ ম্যাচ মোট ৭টি, বাংলাদেশ জয় ০টি আর দক্ষিণ আফ্রিকা-র জয় ৭টি, ফলাফল হয়নি ০টি।
বাংলাদেশ বনাম ভারত, টি২০ ম্যাচ মোট ১১টি, বাংলাদেশ জয় ১টি আর ভারত-র জয় ১০টি, ফলাফল হয়নি ০টি।
বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, টি২০ ম্যাচ মোট ১৭টি, বাংলাদেশ জয় ২টি আর ভারত-র জয় ১৫টি, ফলাফল হয়নি ০টি।